|
কেউ কোনো কারণে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হলে কিংবা কোনো অপরাধের শিকার হলে প্রথমেই সবার ভাবনায় আসে যে কাছের থানায় গিয়ে প্রতিকার চাইতে হবে। কিন্তু থানায় গিয়ে কীভাবে প্রতিকার চাইতে হবে, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে থাকেন। বিশেষ করে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নাকি এজাহার করবে, তা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেক সময় বড় কোনো অপরাধ ঘটলেও অনেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেকে পুলিশের কাছে যাওয়াকে ঝামেলা মনে করেন। আবার গেলেও পুলিশের কাছে ঠিকঠাক উপস্থাপন করতে পারে না। ফলে অনেকেই আইনের সঠিক প্রতিকার নেওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এতে অপরাধীরা সুযোগ পায় এবং নীরিহ মানুষেরা বারবার অপরাধের স্বীকার হয়। ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে এজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলার সূচনা হয়। তাই পরবর্তীতে মামলার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে এজাহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে পরিগণিত হয়। ঠিকমতো এজাহার দায়ের করতে না পারায় প্রতিনিয়ত অনেকেই বিচার পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এজাহার রুজু করার জন্য পর্যাপ্ত আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা না থাকায় প্রায়ই আমাদের মামলা সংক্রান্ত নানান রকম ঝামেলাপূর্ন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তাছাড়া আইনগতভাবে এজাহার লেখার পদ্ধতিও যথেষ্ট জটিল।
|
এজাহার (এফ আই আর) কী
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা মোতাবেক থানায় কোন আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ মৌখিক বা লিখিতভাবে পৌছানোর পর কতব্যরত পুলিশ অফিসার কর্তৃক বিষয়টি থানার নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করাকে এজাহার বা এফ আই আর বলে।
অর্থাৎ অপরাধী ও সংঘটিত আমলযোগ্য অপরাধের বিস্তারিত বিবরণসহ শাস্তি দাবী করে বা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে থানায় অপরাধের সংবাদ লিপিবদ্ধ করাকে এজাহার বলা হয়। যা FIR (First Information Report) বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী নামেও পরিচিত। অপরাধ সম্বন্ধে এ বিবরণ প্রথম দেয়া হয় বলে একে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী বলে। এজাহার হচ্ছে মামলা রুজু করা। আমলযোগ্য অপরাধ (Cognizable offence) হচ্ছে সেই অপরাধ যে অপরাধের দরুণ অভিযুক্তকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যায়।
|
এজাহার কে কখন করতে পারে
এজাহার বা এফআইআর হচ্ছে কোনো সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে থানায় অভিযোগ, অর্থাৎ অপরাধমূলক ঘটনাটি ঘটার পরেই দেওয়া হয় এজাহার বা এফআইআর। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজে বা তাঁর পরিবারের কেউ কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তি, যিনি ঘটনা ঘটতে দেখেছেন কিংবা ঘটনার কথা শুনেছেন বা অবগত আছেন, তিনি থানায় এজাহার করতে পারেন। ঘটনাটি যে থানার এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে, সাধারণত ওই থানাতেই করা উচিত। এজাহারে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ, ঘটনার স্থান, সময়, কীভাবে ঘটনা ঘটল, তার বিবরণ স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এজাহারকারীর পূর্ণ ঠিকানা ও স্বাক্ষর থাকতে হবে। যদি মৌখিকভাবে থানায় এজাহার দেওয়া হয়, তাহলে থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তা লিখবেন এবং এজাহারকারীকে শোনাবেন। এজাহারকারীর স্বাক্ষর অবশ্যই দিতে হবে।
|
কিভাবে এজাহার লিখে
এজাহার লিখিত বা মৌখিক যেকোনভাবেই করা যেতে পারে। মৌখিক এজাহারের ক্ষেত্রে থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিনামূল্যে ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে দিবেন এবং উক্ত ঘটনার বিবরণ তিনি তথ্য প্রদানকারীকে পড়ে শুনিয়ে আপত্তি না থাকলে তাতে তার স্বাক্ষর নিবেন। আর যদি তথ্য প্রদানকারী কোন সংশোধন আনতে চান তবে তা করার পর স্বাক্ষর নিবেন। অন্যদিকে লিখিত এজাহারের বেলায় সংঘটিত অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ স্বাক্ষরসহ দরখাস্ত আকারে সংশ্লিষ্ট থানায় দাখিল করতে হয়। প্রাপ্ত দরখাস্তের তথ্যাদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাহারের জন্য নির্ধারিত বিপি ২৭ ফরমে তুলে মামলার জন্য প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করেন। তবে কোন কারণে থানা এজাহার নিতে না চাইলে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে নালিশি (Complaint Register) মামলা রুজু করা যায়।
|
এজাহারের দরখাস্তের নমুনা
|
এজাহারে যেসব বিষয় উল্লেখ করতে হয়
ঠিকমতো এজাহার করতে না পারায় অনেকেই বাধ্য হয়ে টাকার বিনিময়ে দালালের সাহায্য নেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী না হওয়ায় এজাহারে এ সকল দালালেরা ঘটনার প্রকৃত বিবরণ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়। ফলস্বরূপ এজাহার দুর্বল হয়ে যায় এবং আসামির বিপক্ষে মামলা প্রমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজাহার হলো ফৌজদারী মামলার ভিত্তি, তাই এজাহারে অপরাধী ও অপরাধের পুঙ্খানুপুঙ্খবিবরণ সতর্কতার সঙ্গে তুলে ধরতে হয়। এজাহারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও তথ্য থাকতে হবে তার তালিকা:
- ধর্তব্য অপরাধের সংবাদ হতে হবে।
- এজাহারে থানা ও জেলার নাম থাকতে হবে।
- ঘটনার তারিখ ও জেলার নাম থাকতে হবে।
- থানার মামলা নং ও মাসিক এবং বাৎসরিক ক্রমিক নং।
- এজাহারটি থানায় পেশ করার তারিখ ও সময়।
- ঘটনাস্থলের নাম, থানা হতে দিক দূরত্ব ও দায়িত্বাধীন এলাকার নাম।
- এজাহারটি থানা হতে প্রেরণের তারিখ।
- এজাহারের বাদী বা সংবাদদাতার স্বাক্ষর/টিপসই এবং রেকর্ডকারী অফিসারের সীল সাক্ষর।
- বাদী বা সংবাদ দাতার নাম ও ঠিকানা
- আসামীদের নাম ঠিকানা ও মোট আসামীর সংখ্যা
- ধারাসহ অপরাধ ও লুণ্ঠিত মালের বিবরণ ও আনুমানিক মূল্য।
- সন্ধিগ্ধ ব্যক্তিদের সম্পর্কে ধারণা
- মামলা তদন্ত চালনার কর্মতৎপরতা ও বিলম্বে এজাহার পেশ করার কৈফিয়ত।
- রেকর্ডকারী অফিসারের সীল স্বাক্ষর।
- অপরাধ সংঘটনের কোন পূর্ব সূত্র বা কারণ থেকে থাকলে তার বর্ণনা।
- এজাহারটি অবশ্যই লিখিত হতে হবে।
- বাদী বা সংবাদদাতার স্বাক্ষর/টিপসই থাকতে হবে।
- অপরাধ পরবর্তী অবস্থা যেমন -সাক্ষীদের আগমন, আহত ব্যক্তির চিকিত্সা ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা
- কোন বিষয় তাত্ক্ষনিকভাবে লেখা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে সে বিষয়টি সংযোজন করা হবে এমন একটি কৈফিয়ত রাখা প্রভৃতি বিষয়াবলী উল্লেখ করা জরুরি।
এছাড়া এজাহার দাখিলে কোন কারণে বিলম্ব হলে যথাযথ ও যৌক্তিক কারণ দর্শানো এবং কোন ঘষা-মাজা, কাটা-কাটি না থাকা ভাল। যদিও ফৌজদারী অপরাধের কোন তামাদি নেই, তথাপি এজাহার দায়েরে বিলম্ব মামলার গুনগতমান বিনষ্ট করে। এজাহারের ৫টি কপি করতে হয়, তন্মধ্যে মূল কপি কোর্টে, প্রথম কার্বন কপি পুলিশ সুপার এর নিকট, দ্বিতীয় কার্বন কপি থানায়, সাদা কাগজে অতিরিক্ত কপি সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট এবং সাদা কাগজে অতিরিক্ত কপি এজাহারদাতার নিকট প্রেরণ করতে হয়।
|
জিডি ও মামলার মধ্যে পার্থক্য
উল্লেখ্য, জিডি ও এজাহার সম্পূর্ণ ভিন্ন।বিষয়। কারও দ্বারা ভীতিপ্রাপ্ত হলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে থানায় প্রাথমিক প্রতিকার হিসেবে জিডি করা হয়। কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলেও জিডি করা যায়। তাছাড়া কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সনদ, দলিল, মোবাইল ফোন প্রভৃতি হারিয়ে গেলেও জিডি করতে হয়। এমনকি কেউ নিখোঁজ হলে জিডি করতে হয়। তবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনায় মামলা হয়, জিডি হয় না। কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে গেলে তখন হয় মামলা। জিডি করা মানে কোনো মামলা করা নয়। আর কোনো ঘটনা বা অপরাধ এখনো সংঘটিত হয়নি কিন্তু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বা কাউকে হুমকি দেয়ার কারণে শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রেই জিডি এন্ট্রি করা আবশ্যক হয়ে পড়ে; যাতে অপরাধ সংঘটনকারী সতর্ক হয়ে যায়।
কোনো অপরাধ বা অপরাধমূলক কিছু ঘটার পর সে বিষয়ে থানায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য যে সংবাদ দেওয়া হয়, তাকে এজাহার বা এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) বলে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজে বা তাঁর পরিবারের কেউ কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তি, যিনি ঘটনা ঘটতে দেখেছেন কিংবা ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন, তিনি থানায় এজাহার করতে পারেন। মূলত এজাহার করার মাধ্যমে থানায় মামলা করা হয়।
|
যে ভুল করা যাবে না
অনেকের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) আর এজাহার এক বিষয়। এ দুটি এক বিষয় নয়। জিডি হচ্ছে আইনি সহায়তাকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার জন্য প্রথম পদক্ষেপ। ধরুন, একজন ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু এটি যদি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা হয়, তাহলে জিডি করতে হবে। আর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি যদি অপহরণের কারণে হয়, তাহলে এজাহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। কোনো থানায় জিডি করার পর যদি পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে গুরুতর কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলে, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে নন-এফআইআর মামলা করতে পারে। এ অনুযায়ী পুলিশ নন-প্রসিকিউশন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারে এবং এর ভিত্তিতে বিচার শুরু হতে পারে। তাই থানায় গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত। কোনো ভুলের কারণে সঠিক আইনি আশ্রয় থেকে যেন বঞ্চিত না হোন, এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
|
থানায় এজহার (মামলা) না নিলে করনীয়
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারার বিধান অনুযায়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাহার লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য। আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের পর কেউ থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করতে অস্বীকার করতে পারেন না। পিআরবি এর ২৪৪(ক) নিয়ম মতে, মিথ্যা বা সত্য হউক, মারাত্তক বা নগণ্য হউক, দণ্ডবিধি বা যেকোন বিশেষ আইন বা স্থানীয় আইন সম্পর্কিত হউক, পুলিশের নিকট প্রদত্ত প্রত্যেকটি আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কিত এজাহার লিপিবদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ আইন অনুযায়ী পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কিত এজাহার লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য।
কিন্তু বাস্তবতা অনেক সময় ভিন্য হতে পারে। পুলিশ থানায় মামলা না ও নিতে পারে। কোনো কারণে পুলিশ যদি কখনো মামলা নিতে না চায়, তাহলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (বিচারিক হাকিম) আদালতে নালিশি অভিযোগের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করা যায়। এরপর ওই অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে কি না, তা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী অভিযোগকারীকে এবং প্রয়োজন মনে করলে ঘটনার কোনো সাক্ষী থাকলে তাঁদের কে ও শপথের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষার সারসংক্ষেপ লিখে অভিযোগকারী ব্যক্তির ও কোনো সাক্ষী থাকলে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে তিনি নিজে ও তাতে স্বাক্ষর প্রদান করবেন। কেউ দরখাস্ত আকারে ঘটনার পূর্ণ বিবরণসহ লিখিত নালিশ করে প্রতিকার দাবি করলে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত রুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শপথ পুর্বক জবানবন্দি গ্রহণের সময় যদি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নালিশকারীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হন অথবা নালিশকারী মামলার ভিত্তি (Prima facie) প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তবে ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি আমলে না নিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দিতে পারেন। নালিশি পিটিশনটি খারিজ হলে অভিযোগকারী খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে দায়রা জজ আদালতে বা হাইকোর্ট বিভাগে ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশনের আবেদন করতে পারেন।
|
এজাহারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী
থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতার কাছে এজাহার দায়েরের মাধ্যমে যে মামলা শুরু হয় তা পুলিশি মামলা নামে পরিচিত। পুলিশি মামলাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়: জিআর ও নন জিআর মামলা।
জিআর মামলা/G.R (General Register)
কোন আমলযোগ্য অপরাধ ঘটার খবর পেলে থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুসারে মামলা করে আদালতে এফআইআর/ F.I.R দাখিল করে কার্যবিধির ১৫৬ ধারা অনুসারে মামলার তদন্ত শুরু করেন। এটাই জিআর মামলা। থানা থেকে এফআইআর আদালতে আসার পর কোর্ট ইন্সপেক্টর/সাব-ইন্সপেক্টর বা জিআর, জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার উক্ত এফআইআরটি মামলা হিসেবে কোর্টের জেনারেল রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে তা দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনেন।
নন জিআর মামলা
আমলযোগ্য মামলা সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য না করে পুলিশি প্রবিধান ৩৭৭ অনুসারে জিডি এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন রিপোর্ট দায়ের করতে পারেন। এগুলো নন-জিআর মামলা নামে পরিচিত।
|