|
১। |
অর্থনীতির সংজ্ঞা কী? |
অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি ‘Economics’ শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা।
“অর্থনীতি মানুষের অভাব ও বিকল্প ব্যাবহারযোগ্যো সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।” [এল.রবিন্স]
|
উত্তর+ |
|
২। |
আধুনিক অর্থনীতিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় এবং এগুলোর সংজ্ঞা কী? |
(১)ব্যাস্টিক অর্থনীতি (Micro Economics) – Micro-এর অর্থ হলো ক্ষুদ্র। ব্যাস্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি ব্যক্তি, পরিবার এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলি চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে।
(২)সামস্টিক অর্থনীতি (Macro Economics) – অন্যদিকে Macro শব্দের অর্থ হলো বড় বা বৃহৎ। সামস্টিক অর্থনীতি একটি দেশের জাতীয় বা আঞ্চলিক অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, কাঠামো, নীতি ও আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।
|
উত্তর+ |
|
৩। |
বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নাম কী? |
ক) ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
খ) সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
গ) মিশ্র অর্থব্যবস্থা
ঘ) ইসলামী অর্থব্যবস্থা
|
উত্তর+ |
|
৪। |
ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? |
ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা (Capitalistic Economy System) এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে উৎপাদনের উপকরণগুলোর ওপর ব্যক্তিমালিকানা বজায় থাকে। উৎপাদন, বিনিময় ও ভোগসহ সমাজের সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যক্তিগত উদ্যোগে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা ও অবাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ভোগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। এ ধরনের অর্থব্যবস্থাকে অবাধ বা মুক্ত অর্থনীতিও বলে।
|
উত্তর+ |
|
৫। |
সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? |
যে অর্থব্যবস্থায় সম্পদ ও উৎপাদনের উপাদানসমূহের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে বা কোনো ব্যক্তিমালিকানার অস্তিত্ব থাকে না, তাকে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা (Socialistic Economy) বলে। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে কলকারখানা, খনি প্রভৃতির ওপর সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ সামাজকল্যাণে উৎপাদন, বণ্টন এবং ভোগ নিয়ন্ত্রিত করে। এই অর্থব্যবস্থাকে পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থাও বলা হয়।
|
উত্তর+ |
|
৬। |
মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? |
যে অর্থব্যবস্থায় সম্পদের রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানা এবং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি বিরাজ করে, তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতি (Mixed Economy) বলে। এ ব্যবস্থায় ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। মিশ্র অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ওপর কতগুলো খাত ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মৌলিক ও ভারী শিল্প, জাতীয় নিরাপত্তা ও জন গুরুত্বপূরণ প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা হয়। বাংলাদেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিরাজমান।
|
উত্তর+ |
|
৭। |
অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বোঝায়? মুদ্রাস্ফীতির সুফল ও কুফল কী? |
সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি যখন দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে অর্থাৎ অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে।
মূদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিতে একাধারে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটি গুরূত্বপূর্ণ উপাদান তবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির হার উৎপাদনের বৃদ্ধির হার থেকে বেশি হলে সেই মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। ইতিবাচক প্রভাবগুলো হল পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ার বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে উৎসাহী হয় যার ফলে অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্ঠি হয় এবং যার মাধ্যমে নতুন উপভোক্তা তৈরী হয়।
আধুনিক অর্থনীতিবিদগন সবসময় একটি স্বল্প কিন্তু স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতির পক্ষে মতামত দেন। কারণ স্বল্পমাত্রার ও স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির সূচকগুলোকে চলমান রাখে এবং বাজারগুলোকে বিভিন্ন অর্থনৈতীক মন্দার মধ্যের সচল ও স্থিতিশীল রাখে।
|
উত্তর+ |
|
৮। |
উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ কয় প্রকার ও কী কী? |
তিন প্রকার: ১) প্রাকৃতিক সম্পদ, ২) মানবিক সম্পদ ও ৩) উৎপাদিত সম্পদ
|
উত্তর+ |
|
৯। |
মালিকানার ভিত্তিতে সম্পদ কয় প্রকার ও কী কী? |
চার প্রকার: ১) ব্যক্তিগত, ২) সমষ্টিগত, ৩) জাতীয় ও ৪) আন্তর্জাতিক সম্পদ
|
উত্তর+ |
|
১০। |
মোট দেশজ উৎপাদ বলতে কী বোঝায়? |
একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চুড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদ হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদ বা (Gross Domestic Product) GDP বলা হয়।
মাথাপিছু GDP বলতে জনপ্রতি বার্ষিক জিডিপিকে বোঝায়। মোট দেশজ উৎপাদকে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে মাথাপিছু GDP পাওয়া যায়। মাথাপিছু GDP হলো একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার প্রধান সূচক। GDP এবং GNP (Gross National Income) প্রায় সমার্থক, তবে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
|
উত্তর+ |
|
১১। |
উপযোগ, চাহিদা ও যোগান বলতে কী বোঝায়? |
উপযোগ (Utility) হল কোন দ্রব্য বা সেবার মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতা।
ক্রেতার একটি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে কেনার আকাঙ্ক্ষা, সামর্থ্য এবং নির্দিষ্ট মূল্যে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তাকে চাহিদা (Demand) বলে।
বিক্রেতা যে দামে দ্রব্যের যে পরিমাণ সরবরাহ করতে ইচ্ছুক তাকে যোগান (Supply) বলে।
|
উত্তর+ |
|
১২। |
বাজার বলতে কী বোঝায়? পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও একচেটিয়া বাজার বলতে কী বোঝায়? |
যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দ্রব্য বা সেবা বেচা-কেনা হয় তাকে বাজার (Market) বলে।
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থায় (Perfectly Competitive Market) অসংখ্য ক্রেতা এবং বিক্রেতা সমজাতীয় দ্রব্য বেচা-কেনা করেন। এ ধরনের বাজারে চাহিদা ও যোগান দ্বারা পণ্যের মূল্য একবার নির্ধারিত হলে কোনো ক্রেতা বা বিক্রেতার দ্বারা তা পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না।
একচেটিয়া বাজার (Monopoly market) বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকার কর্তৃক কোনো একটি দ্রব্য বিক্রয়ের একচেটিয়া অধিকার।
|
উত্তর+ |
|
১৩। |
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাতসমূহ কী? |
১) কৃষি খাত, ২) শিল্প খাত ও ৩) সেবা খাত
|
উত্তর+ |
|
১৪। |
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে পার্থক্য কী? |
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলতে দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে বোঝায়।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে অর্থনীতির সামগ্রিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের মাথাপিছু আয়ের ক্রমাগত বৃদ্ধিকে বোঝায়।
|
উত্তর+ |
|
১৫। |
দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র বলতে কী বোঝায়? |
দারিদ্র্য পরিমাপে খাদ্য গ্রহণ বা প্রত্যক্ষ ক্যালরি গ্রহণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সে অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি প্রতিদিন দুই হাজার ১২২ ক্যালরির কম খাদ্য গ্রহণ করলে দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। আর এক হাজার ৮০৫ ক্যালরির নিচে খাদ্য গ্রহণ করলে তিনি চরম দরিদ্র।
বাংলাদেশে খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি মৌলিক চাহিদা ব্যয় (সিবিএন) পদ্ধতিও অনুসরণ করে থাকে বিবিএস। এতে খাদ্য, শিক্ষা, বস্ত্রসহ মৌলিক ১১টি সুবিধা মানুষ কতটা পাচ্ছে, সেই হিসাবও করা হয়।
|
উত্তর+ |
|
১৬। |
বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্রের হার কত? |
বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার এখন ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত এক বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি অতি দারিদ্র্যের হার এখন ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এই হিসাব ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
|
উত্তর+ |
|
১৭। |
মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা VAT) এবং আবগারি শুল্ক বলতে কী বোঝায়? |
মূল্য সংযোজন কর – Value Added Tax (মূসক) হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে তার উৎপাদন ও বণ্টনের প্রতিটি পর্যায় শেষে সংযোজিত মূল্যের ওপর শতকরা হারের কর। এই করের দায়ভার চূড়ান্তভাবে কেবল পণ্য বা সেবার ভোক্তাকে বহন করতে হয়।
আবগারি শুল্ক (Excise Duties) দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত দ্রব্যের ওপর আরোপিত কর। আবগারী শুল্ক এক প্রকার পরোক্ষ কর যা দেশজ উৎপাদনের ওপর আদায় করা হয়ে থাকে। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য কারখানা থেকে খালাসের সময় এই শুল্ক আদায় করা হয়। এই করের দায়ভারও চূড়ান্তভাবে কেবল পণ্য বা সেবার ভোক্তাকে বহন করতে হয়।
|
উত্তর+ |
|
১৮। |
বাজেট বলতে কী বোঝায় এবং বাজেট কত প্রকার ও কী কী? |
বাজেট (Budget) বলতে আয় ও ব্যয়ের সুবিন্যস্ত হিসাবকে বোঝায়। সরকারের কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে কত আয় ও ব্যয় করতে চাই তার সুবিন্যস্ত হিসাবকে সরকারি বাজেট বলে। জাতীয় বাজেট দেশের সরকার প্রণীত একটি বার্ষিক দলিল যাতে রাষ্ট্রের সাংবাৎসরিক আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।
সরকারের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্যের দিক থেকে বাজেটকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সুষম বাজেট (Balanced Budget), উদ্ধৃত্ত বাজেট (Surplus Budget) এবং ঘাটতি বাজেট (Deficit Budget)।
|
উত্তর+ |
|
১৯। |
যৌথ মূলধনী কারবার কী? |
বহুলোক একত্রিত হয়ে সম্মিলিতভাবে মূলধন যোগান দিয়ে যৌথভাবে যে কারবার প্রতিষ্ঠা করে তাকে যৌথ মূলধনী কারবার বলে।
যৌথ মূলধনী কারবার দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি – কমপক্ষে ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন সদস্য নিয়ে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করা যায়।
২. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি – কমপক্ষে ৭ জন এবং ঊর্ধ্বে যে কোনো সংখ্যক শেয়ার হোল্ডার মিলে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠন করা যায়।
|
উত্তর+ |
|
২০। |
অর্থের মূল্য পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়? |
অর্থের মূল্য পরিবর্তন বলতে অর্থের ক্রয়ক্ষমতার পরিবর্তনকে বোঝানো হয়। অর্থের ক্রয়ক্ষমতা দ্রব্যমূল্যের ওপর নির্ভর করে। দ্রব্যমূল্যের পরিবর্তন হলে অর্থের মূল্যের পরিবর্তন হয়। যখন একক অর্থ দ্বারা পূর্বের চেয়ে বেশি পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করা যায় তখন অর্থের মূল্য বাড়ে। আবার যখন এক একক অর্থ দ্বারা পূর্বে চেয়ে কম পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করা যায় তখন অর্থের মূল্য কমে। অর্থাৎ সময়ের ব্যবধানে দামস্তর বাড়লে অর্থের মূল্য কমে এবং দামস্তর কমলে অর্থের মূল্য কমে।
|
উত্তর+ |
|
২১। |
শ্রমিক সংঘ কী? |
শ্রমিক নিজেদের স্বার্থরক্ষা, আস্থার উন্নতি, চাকুরির, শর্তাবলীর উন্নতি সাধন এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিয়োগকারীর সাথে দরকষাকষিকরে মজুরি বৃদ্ধির জন্য যে স্থায়ী গঠন করে তাকে শ্রমিক সংঘ বলা হয়।
|
উত্তর+ |
|
২২। |
স্বয়ংক্রিয় দাম প্রক্রিয়াটি কী? |
চাহিদাও জোগানের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দ্বারা বাজারে কোনো দ্রব্যের যে দাম নির্ধারিত হয়, সেই দামকে স্বয়ংক্রিয় দাম বলে। এক্ষেত্রে দ্রব্যটির দাম নির্ধারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার কোনো ভূমিকা নেই। দ্রব্যটি চাহিদা ও জোগানই নির্ধারণ করে দ্রব্যাদির দাম কত হবে।
|
উত্তর+ |
|
২৩। |
বাণিজ্যিক ভারসাম্য ও লেনদেন ভারসাম্যের মধ্যে পার্থক্য কী? |
বাণিজ্যিক ভারসাম্য : একটি দেশের কেবল মাত্র দৃশ্যমান দ্রব্যের আমদানি রপ্তানির হিসাবকে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বলে।
একটি দেশের দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান উভয় প্রকার দ্রব্যের আমদানি রপ্তানির হিসাবকে লেনদেন ভারসাম্য বলে।
|
উত্তর+ |
|
২৪। |
জিডিপি বৃদ্ধির দিক থেকে বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশর অবস্থান কত? |
পৃথিবীর ৫ম অর্থনীতি
|
উত্তর+ |
|
২৫। |
অর্থনীতির জনক বলা হয় কাকে? |
অর্থনীতির জনক The Wealth of Nations গ্রন্থের লেখক অ্যাডাম স্মীথ।
|
উত্তর+ |
|
২৬। |
সুযোগ ব্যয় কাকে বলে? |
একটি দ্রব্যের অতিরিক্ত উৎপাদন পাওয়ার জন্য অপর দ্রব্যের উৎপাদন যতটুকু ছেড়ে দিতে হয় তাকে সুযোগ ব্যয় বলে।
|
উত্তর+ |
|
২৭। |
ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়যোগ্য আয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? |
কোন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যক্তি বা পরিবারবর্গের চলতি আয়কে ব্যক্তিগত আয় বলা হয়। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত আয় হতে আয়কর ও অন্যান্য প্রত্যক্ষ কর বাদ দিয়ে যা অবশিষ্ট থাকে তাকেই ব্যয়যোগ্য আয় বলা হয়।
|
উত্তর+ |
|
২৮। |
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক কী? |
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) একটি বহুমুখী উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য করাই এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।
|
উত্তর+ |
|
২৯। |
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে বলে? |
বযে আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থবাজারের শীর্ষে অবস্থান করে দেশের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে। যেমন- বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয়। জনকল্যাণকে প্রাধান্য দেওয়াই এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।
|
উত্তর+ |
|
৩০। |
মোট খাজনা কাকে বলে? |
জমি ব্যবহারকারী কর্তৃক জমির মালিককে চুক্তি অনুসারে প্রদত্ত মোট অর্থকে মোট খাজনা বা চুক্তিবদ্ধ খাজনা বলে। মোট খাজনার মধ্যে জমির বিশুদ্ধ খাজনা ছাড়াও জমির মালিকের মূলধন নিয়োগ বাবদ সুদ, প্রাপ্তিযোগ্য মজুরি, মালিক কর্তৃক সরকারকে প্রদত্ত কর, ঝুঁকি গ্রহণের জন্য মুনাফা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
|
উত্তর+ |
|
৩১। |
অনুপার্জিত আয় কাকে বলে? |
অর্থনৈতিক উন্নতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, লোকসংখ্যা বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে একটি দেশের বা একটি এলাকার জমির দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পেতে পারে। এক্ষেত্রে জমির মালিক কোনো বাড়তি পরিশ্রম বা বিনিয়োগ না করে যে অতিরিক্ত আয় করে, তাকে অনুপার্জিত আয় বলে।
|
উত্তর+ |
|
৩২। |
মুদ্রা সংকোচন কাকে বলে? |
মুদ্রাসংকোচন (Deflation) হলো মুদ্রাস্ফীতির বিপরীত অবস্থা। যখন দেশে দ্রব্যসামগ্রীর জোগান অপেক্ষা অর্থের জোগান কম হয়, এর ফলে দামস্তর ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে, তখন তাকে মুদ্রাসংকোচন বলে।
|
উত্তর+ |
|
৩৩। |
রাজস্ব বাজেট ও মূলধনী বাজেট বলতে কী বোঝায়? |
সরকারের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভিত্তিতে যে বাজেট তৈরি করা হয়, তাকে রাজস্ব বাজেট বলে।
সরকারের মূলধনী আয় ও ব্যয়ের হিসাব যে বাজেটে প্রদর্শন করা হয়, তাকে মূলধনী বাজেট বলে।
|
উত্তর+ |
|
৩৪। |
বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংজ্ঞা কী? |
বাণিজ্যিক ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে সংগৃহীত অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য উৎপাদনশীল কাজে স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করে।
|
উত্তর+ |
|
৩৫। |
অভাবের বৈশিষ্টসমূহ কি কি? |
অর্থনীতিতে বস্তুগত বা অবস্তুগত কোনো দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে অভাব বলে। মানুষের অভাবের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. অভাব অসীম
২. কোন বিশেষ অভাব সীমাবদ্ধ
৩. অভাবসমূহ পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী
৪. অভাব পরস্পরের পরিপূরক
৫. অভাবের তীব্রতার পার্থক্য
৬. অভাব পূরণে বিকল্প উপায়
৭. অনুকরণভিত্তিক অভাব ইত্যাদি
|
উত্তর+ |
|
apnader kicu economics pdf kara book paoa jete pare ki?