এই পোস্টে টিপিক্যাল ডিজিটাল ক্যামেরার বিবরণ বা ম্যানুয়েল দেওয়া হল। ক্যামেরার সব ফাংশন/ফিচার সম্পর্কে এবং প্রতিটি বাটন/অপশনের অবস্থান ও ব্যবহার পদ্ধতি আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো। তাহলে সঠিক সময়ে সঠিক বাটনটি খুঁজে পেতে ও ব্যবহার করতে সমস্যা হয় না। ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ও ডিএসএলআর ক্যামেরার বিভিন্ন পার্টস ও বাটনের পরিচিতি, গুরুত্বপূর্ণ বাটন ও ফিচারসমূহের ফাংশন ও ব্যবহার, ম্যানুয়েল ও অটো এক্সপোজার, কমপ্যাক্ট ও ডিএসএলআরের পার্থক্য, ক্যামেরার প্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত উপকরণসমূহ, গ্রাফিক্যাল সিম্বলের বর্ণনা, ক্যামেরা সেটিং, ক্যামেরা ধরার কৌশল, ক্যামেরার পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে এই পর্বে আলোচনা করা হল।
কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরার বেসিক পার্টস ও বাটন |
+ |
বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের মধ্যে সামান্য তারতম্য হলেও টিপিক্যাল কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরার বেসিক বাটন ও ফাংশন প্রায় একই রকম।
Shutter button:অর্ধেক চাপ দিয়ে অটো মুডে এক্সপোজ সেটিং ও পুরো চাপ দিয়ে ছবি শট।
Control buttons: ক্যামেরার বিভিন্ন সেটিং এডজাস্ট করা।
Shooting mode dial: বিভিন্ন ক্যাটাগরির দৃশ্যের মুড ও এক্সপোজার নির্বাচন করার জন্য।
Microphone: মুভি ক্লিপ নেওয়ার সময় সাউন্ড রেকর্ড করার জন্য।
Focus-assist light: ক্যামেরার ফোকাসকে সাহায্যকারী বাতি।
Electronic flash:বিল্ড ইন ইলেকট্রোনিক ফ্লাশ।
Optical viewfinder: ছবির কমপোজ ও ফ্রেম করার জন্য।
Zoom lens and control: ছবিকে কাছে ও দুরে করার জন্য।
Tripod socket: তেপায়ায় ক্যামেরা বসানোর জন্য।
Docking port: বিশেষভাবে নির্মিত বক্স যার উপরে ক্যামেরা বসিয়ে ফটো ট্রান্সপার, ব্যাটারী চার্জ করা হয়।
Power switch: ক্যামেরা অন-অফ করার মেইন সুইচ।
Indicator LEDs: ক্যামেরার বর্তমান স্ট্যাটাচ প্রদর্শন করে।
LCD (liquid crystal display) panel: এলসিডি মনিটর।
Display control/Menu button: মনিটর ও মেনুতে প্রদর্শিত তথ্য নিয়ন্ত্রন করা।
Picture review: সাম্প্রতিক তোলা ছবি প্রদর্শন করা।
Cursor pad: লিস্ট থেকে মেনু নির্বাচন করা।
Set/Execute button: ওকে বা এন্টার বাটন।
Memory card slot: মেমোরি কার্ড স্থাপনের খাঁজ।
USB port: USB cable সংযুক্তি।
|
ম্যানুয়েল ও অটো এক্সপোজার |
+ |
লেটেস্ট কমপ্যাক্ট ক্যামেরাতেও আংশিক ম্যানুয়েল এক্সপোজারের সুবিধা থাকে। নিচের ফিচারটি দেখুন:
Program auto, aperture priority, shutter priority, and manual modes
Program mode (P)— ক্যামেরা নিজেই shutter speed এবং aperture সেট করবে।
Aperture priority mode (A)— আপনি সেটিং করবেন aperture, ক্যামেরা সেট করবে shutter speed।
Shutter priority mode (S)—আপনি সেটিং করবেন shutter speed, ক্যামেরা সেট করবে aperture।
Manual mode (M)— আপনি aperture এবং shutter speed দুটিই ম্যানুয়েলী সেটিং করবেন।
ম্যানুয়েলী সেটিংয়ের জন্য আপনার ক্যামেরার ইউজার গাইড দেখুন।
|
এসএলআর ও কমপ্যাক্ট ক্যামেরার পার্থক্য |
+ |
এসএলআর ও কমপ্যাক্ট ক্যামেরার মূল পার্থক্য হচ্ছে এসএলআরে ১০০% ম্যানুয়েল এক্সপোজারের (Shutter Speeds, Apertures, ISO) সুবিধা। এছাড়া এসএলআরে সবসময় অতিরিক্ত কমপোনেন্ট (জুম লেনস্, ফ্লাশলাইট, ফিল্টার ইত্যাদি) ব্যবহারের অপশন থাকে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফীতে অটো এক্সপোজার থেকে ম্যানুয়েল এক্সপোজারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ জানতে হলে অটো এক্সপোজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে হবে। অটোমুডে আমরা যখন ছবি তোলার জন্য কোন সাবজেক্টকে লেন্সের মাধ্যমে ফ্রেমে আবদ্ধ করে (ফোকাস) শার্টার রিলিজ বাটন অর্ধেক চাপ দিই, তখন ক্যামেরা প্রসেসর ঐ সাবজেক্টের আলো ও কিছু পারপার্শ্বিক তথ্য নিয়ে ক্যামেরাতে আগে থেকে দেওয়া প্রোগ্রামের মাধ্যমে হিসেব করে এক্সপোজার সেটিং করে দেয়। যখন শার্টার রিলিজ বাটন বাকী অর্ধেক অর্থাৎ পুরোটা চাপ দেই তখন এই সেটিংয়ের ভিত্তিতে ছবিটির শট নেয়। আধুনিক ক্যামেরা অটোমুডে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো ছবি নেয় তবে সমস্যা হয় জটিল কিছু অবস্থায়। যেমন নদীর পারে গাছের ছায়ায় দাঁড়ানো একটা লোকের ছবি নেব। লোকটার পিছনে নদীর পানি থেকে সুর্যের আলো প্রতিফলিত হচ্ছে। এখন অটো এক্সপোজে ক্যামেরা যদি নদীর পানিতে প্রতিফলিত সুর্যের আলোকে হিসেব করে এক্সপোজ সেটিং করে তবে লোকটির ছবি অন্ধকার হবে। ধরুন ফ্লাশ ব্যবহার করে তিনটি লোকের একাটি গ্রুপ ছবি নেব, যাদের একজনের পরণে সাদা, অন্যজনের কালো এবং আরেকজনের লাল সার্ট। এখানে আলো ও রংয়ের গড় হিসেব করে এক্সপোজ সেটিং হবে। তাই সবগুলো রং ভালো নাও আসতে পারে। এছাড়া ছবিতে হালকা লাল রংয়ের একটা আবরণ আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এসব সমস্যাকে এড়ানোর জন্যই ম্যানুয়েল এক্সপোজারের গুরুত্ব। উল্লেখ্য, ম্যানুয়েলী এক্সপোজার সেটিংয়ের জন্য Shutter Speeds, Apertures, ISO এবং Flash সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
|
ডিএসএলআর ক্যামেরার বেসিক পার্টস ও বাটন |
+ |
এসএলআর ক্যামেরায় কমপ্যাক্ট ক্যামেরার সব ফিচারই থাকে তবে এগুলোর ক্ষমতা ও এখতিয়ার কমপ্যাক্ট ক্যামেরার চেয়ে বেশি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত কিছু ফিচার থাকে যা বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। সংক্ষেপে এসএলআর ক্যামেরার কমন কিছু বাটন ও ফিচার:
1. Lens Alignment – Each lens you use will have a similar red dot.
2. Flash Pop Up Button – Press this to activate the pop up flash.
3. Lens Release – By pressing this in, you allow the lens to be twisted and released.
4. Depth of Field preview – The depth of field determines how much of an image is in focus.
5. Lens contacts – These line up with the contacts of any compatible lenses.
6. Mirror – This mirror allows you to see, through the viewfinder.
7. Grip, 8. Shutter Release Button
9. Focus Assist Beam – It illuminates the subject in poor light to assist the auto focus.
10. Pop Up Flash -You will normally have to activate it via a button for more creative photography.
1. Viewfinder –
2. Dioptre Adjustment – Very handy if you are slightly long or short sighted.
3. Rubber Eyecup –
4. Joystick Dial – This will allow you to move around a menu or image in display mode.
5. Exposure Lock/Zoom Button –
6. Focus Point Selector/Zoom Button – You can choose from a number of points as to which you would like to use.
7. Write Indication Light – When it flashes red, it is writing data from the recently exposed images.
8. Jog Dial and Set button – The jog dial will scroll through images or items in a menu.
9. On/Off Button – 10. Erase Button
11. Play Button –
12. Jump Button – Used to jump 2 or 3 images or menu items at a time.
13. Info – By pressing this, you will bring up all the information of any image that you select and view.
14. Menu Button – This will bring up all the internal menu functions on the screen.
15. Screen – Displays menus and images that have been exposed.
1. Light for LCD Display – Turns on the light to illuminate the LCD panel in low light conditions.
2. AF/WB – Auto focus/white balance setting.
3. Drive/ISO – Drive means auto drive or frame rate.
4. Shutter Button –
5. Top Dial – This is also used to change/alter various settings in either menu by scrolling up or down.
6. Metering/Flash Compensation – The cameras metering system is in the screen that you see through the viewfinder when lining up a shot.
7. LCD Screen – This will display all the exposure, speed ISO etc.
8. Hotshoe – The area where you can place an external, dedicated speedlite or flashgun.
9. Exposure control Dial – Using this dial, you can be as creative or lazy as you wish, from full auto mode (like a point and shoot) to fully manual.
10. Pop up Flash
|
ক্যামেরার প্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত উপকরণ |
+ |
ক্যামেরার সাথে কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া থাকে, অনেক সময় কিছু উপকরণ আলাদাভাবে কিনে নিতে হয়। নতুন ক্যামেরার কেনার পর প্রথমে যে কাজগুলো করা জরুরি:
- ক্যামেরার প্রয়োজনীয় সব উপকরণ সাথে আছে কিনা দেখুন।
- ইউজার ম্যানুয়েল পড়ুন। (প্রিন্টেড +পিডিএফ)
- সাথে দেওয়া সফটওয়্যার কমপিউটারে ইনস্টল করুন। প্রোগ্রাম ইনস্টল করার আগে ক্যামেরা কমপিউটারে সংযুক্ত করবেন না।
- ব্যাটারী (ক্যামেরাতে লোড করে) ফুলচার্জ করুন।
- ক্যামেরার পাওয়ার টার্ন অফ করে মেমোরি কার্ড ইনসার্ট করুন।
- স্ট্রেপ সংযুক্ত করুন।
- ক্যামেরার পাওয়ার টার্ন অন করে Language, Date, Time সেটিং করুন।
|
গ্রাফিক্যাল প্রতীক |
+ |
ডিজিটাল ক্যামেরায় বিভিন্ন অপশন ও ফিচারকে গ্রাফিক্যাল প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতীকের মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকলেও বেসিক প্রতীকগুলো প্রায় একইরকম। নিম্নলিখিত প্রতীকগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকলে ডিজিটাল ক্যামেরার অপশন/ফিচার বুঝা সহজ হয়।
|
ক্যামেরা ধরার কৌশল |
+ |
ছবি তোলার সময় ক্যামেরা কাঁপা ও অসাবধানতায় হাত থেকে ক্যামেরা পড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ক্যামেরা ধরার কিছু কৌশল জানা থাকলে এ সমস্যাগুলো আর থাকে না। আমরা সবাই জানি শার্টার বাটনে চাপ দেওয়ার মুহুর্তেই ছবি সেনসরে/ফিল্মে রেকর্ড হয়। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই অনেকের হাত কেঁপে ছবি ঝাপসা হয়ে যায়।
আপনি দাড়িঁয়ে বা বসে যেভাবেই ছবির শট নিন, ক্যামেরা ধরার সময় ক্যামেরার নিচে হাত বা আঙ্গুল দিয়ে সাপোর্ট দিতে ভুলবেন না। এরপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হাতের নিচে আরেকটি সাপোর্ট দিন। দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় হাতের বাহু শরীরের সাথে লাগিয়ে রাখুন। আশেপাশে কোন গাছ, দেয়াল বা এধরনের কিছু থাকলে তাও সাপোর্টের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। বসে ছবি তোলার সময় হাতের কনুই হাঁটুতে লাগিয়ে বা টেবিল-চেয়ারের উপরে হাতের বাহু রাখতে পারেন। নিচের উদাহরণগুলো দেখুন:
এসব কৌশল ব্যবহারে শুরুর দিকে একটু সমস্যা হলেও কিছুদিন অভ্যাস করলে ঠিক হয়ে যাবে। আজকে এখানেই শেষ। আগামী পোস্টে ডিজিটাল ক্যামেরায় ভালো ছবি তোলার কলা-কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
|
ক্যামেরা-প্রিন্টার-কমপিউটার-টিভি সংযোগ |
+ |
সব ডিজিটাল ক্যামেরার সাথে ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে কমপিউটার সংযোগ করা যায়। কিছু কিছু ক্যামরায় প্রিন্টার ও টিভি সংযোগের অপশনও থাকে। অনেক ক্যামেরায় কমপিউটার সংযোজনের জন্য সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয়। প্রথমবার সংযোগের আগে ক্যামেরার ম্যানুয়েল দেখে সংযোগের নিয়ম-কানুন জেনে নিন। বুঝার সুবিধার্থে আমি এখানে একটি উদাহরণ দেখালাম। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের ক্যামেরার বাহ্যিক ডিভাইস সংযোগের নিয়ম-কানুনের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। ওয়াই-ফাই সংযোগের অপশন থাকলে তারবিহীনসংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে ছবি আদানপ্রধান করা যাবে।
|
ডিজিটাল ক্যামেরার রক্ষণাবেক্ষন ও নিরাপত্তা |
+ |
অযত্নে-অবহেলায় অন্য সবকিছুর মত ডিজিটাল ক্যামেরাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সুতরাং শুরু থেকেই ক্যামেরা অপারেট ও রক্ষানেবেক্ষণের ব্যাপারে সচেতন হলে যে কোনো ক্যামেরা অনেক বছর ব্যবহার করা যায়। কাজ শেষে প্রতিদিন ব্যবহারের পর ক্যামেরা পরিষ্কার করে রাখা উচিত। সাধারণত ক্যামেরা ব্যবহারের সময় হাতের ঘাম বা তৈলাক্ততা ক্যামেরাতে কমবেশি লাগবেই। তাছাড়া ধুলোবালি তো আছেই। তাই মোছামুছির ব্যাপারটা প্রতিদিনকার রুটিনে পরিণত করতে পারলে ভালো। তবে বৃষ্টির পানি লাগলে বা সমুদ্র সৈকতে ক্যামেরা ব্যবহারের পর বিশেষ যত্ন নিয়ে ক্যামেরা পরিষ্কার করা উচিত। কারণ পানি ও লবণাক্ত আদ্রতা বেশিক্ষণ লেগে থাকলে ক্যামেরার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ক্যামেরার ব্যাগে সব সময় নরম কাপড়, ব্রাশ, ব্লোয়ার, টিস্যু পেপার ইতাদি থাকা উচিত যাতে ক্যামেরার প্রয়োজনীয় মুহুর্তে কাজে লাগে।
- পানি ও আদ্রতা
পানি ডিজিটাল ক্যামেরার মারাত্মক ক্ষতি করে। বৃষ্টিতে ভিজে বা পানিতে ডুবে ক্যামেরার ভেতরে পানি ঢুকলে এর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পানি ঢোকামাত্র শুকনো কাপড় বা টিস্যু পেপার দিয়ে ক্যামেরা মোছে ফেলতে হবে। এই অবস্থায় ক্যামেরার সুইচ অন থাকলে তাড়াতাড়ি অফ করে দিতে হবে। এরপর ব্যাটারি খুলে ক্যামেরা হালকা রোদে শুকাতে হবে৷ পানি বা সমুদ্রের কাছে ছবি তুলতে গেলে খুবই সাবধানে ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে। সমুদ্রের বাতাসের লোনা আদ্রতাও ক্যামেরার ক্ষতি করে। তাই সমুদ্রের আশেপাশে ক্যামেরা বেশিক্ষণ খোলা রাখা উচিত নয়। বর্ষা মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে ক্যামেরা ও লেন্সের ভেতর ছত্রাক বা ফাঙ্গস পড়তে পারে৷
- ধূলিবালু
ধূলিবালু ওড়ে এমন জায়গায় ছবি তোলা সম্ভব হলে বর্জন করা উচিত। এ ধরনের জায়গায় ক্যামেরা উন্মুক্ত রাখা বা লেন্স পরিবর্তন করা ঠিক নয়। লেন্সে ময়লা জমলে ছবিতে কালো কালো দাগ পড়ে। লেন্সের সামনে সার্বক্ষণিক ইউভি (অতি বেগুনি রশ্মি) বা এসএল (স্কাইলাইট) ফিল্টার লাগিয়ে রাখা ভালো। ফটো তোলার কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে লেন্স ক্যাপ লাগানোর অভ্যাস থাকা ভালো। ধূলিবালু ওড়ে এমন জায়গায় ছবি তোলা সম্ভব হলে বর্জন করা উচিত। এ ধরনের জায়গায় ক্যামেরা উন্মুক্ত রাখা বা লেন্স পরিবর্তন করা ঠিক নয়। লেন্সে ময়লা জমলে ছবিতে কালো কালো দাগ পড়ে। লেন্সের সামনে সার্বক্ষণিক ইউভি (অতি বেগুনি রশ্মি) বা এসএল (স্কাইলাইট) ফিল্টার লাগিয়ে রাখা ভালো। ফটো তোলার কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে
লেন্স ক্যাপ লাগানোর অভ্যাস থাকা ভালো।
- তাপমাত্রা
সবসময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ক্যামেরা ক্যামেরা রাখা উচিত। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম জায়গায় এবং সরাসরি সূর্য্যের আলোতে ক্যামেরা রাখা ঠিক নয়। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ক্যামেরা রাখলে লেন্সে জলীয়বাষ্প জমে। ফলে ভিউ ফাইন্ডার দিয়ে কিছু দেখা যায় না বা ঝাপসা দেখায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ছবি তোলার জন্য জলীয়বাষ্প শুকানো পর্যন্ত অপেক্সা রাই বুদ্ধিমানের কাজ। বৈদ্যুতিক তার, ট্রান্সমিটার, চুল্লি ও অগ্নিকাণ্ডের ছবি তোলার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে তোলা উচিত যাতে অতিরিক্ত তাপে লেন্সে বা ক্যামেরার ক্ষতি না হয়।
- ব্যাটারির চার্জ
নিয়মিত ব্যাটারি চার্জ করা ভালো। চার্জ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বৈদ্যুতিক সংযোগ খুলে ফেলুন। বেশি চার্জে অনেক সময় ব্যাটারি গরম হয়ে যায় এবং আয়ুও কমে আসে। মেমোরি কার্ড, লেন্স বা ব্যাটারি খোলা বা পাল্টানোর আগে ক্যামেরার সুইচ বন্ধ রাখতে হবে৷ দীর্ঘ সময় ক্যামেরা ব্যবহার না করলে ব্যাটারি খুলে রাখা উচিত।
- ক্যামেরার ব্যাগ
ছবি তোলার সময় ক্যামেরার বেল্ট হাতে বা গলায় পেঁচিয়ে নিলে ক্যামেরা মাটিতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কোথাও ক্যামেরা রাখলে ধীরে-সুস্থে রাখতে হবে যাতে চোট না লাগে। ক্যামেরার ব্যাগে এমনভাবে ক্যামেরা, লেন্স ও ফ্ল্যাশগান রাখতে হবে যাতে একটির সঙ্গে আরেকটির অতিরিক্ত চাপ না লাগে। বিভিন্ন সাইজ ও মডেলের ক্যামেরার জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগেই রাখতে হবে ক্যামেরা, লেন্স ইত্যাদি৷
|
বহিঃসংযোগ |
+ |
|
এই সাইটে প্রকাশিত ডিজিটাল ক্যামেরা ও ফটোগ্রাফ সম্পর্কিত সবগুলো পোস্টের সংযোগ এখানে দেওয়া হল:
- ডিজিটাল ক্যামেরা: বেসিক ফিচার ও ফাংশন
- ডিজিটাল ক্যামেরা ম্যানুয়েল
- ফটোগ্রাফি টিউটোরিয়েল
- ফটোগ্রাফির ১২০ টিপস্
———————-
তথ্যসূত্র:
ইন্টারনেট ও পত্রপত্রিকা,
Digital Photography For Dummies,
Digital Camera Techniques by John Kim