বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তেল। তাই তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থান দৃঢ় ও মজবুত। যে কোন দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, বিদ্যুৎ, কলকারখানা এবং যানবাহনের শক্তির (energy) অন্যতম উৎস খনিজ তৈল বা পেট্রোলিয়াম। দুর্ভাগ্যবশতঃ এই প্রাকৃতিক খনিজ তৈলের অধিকারী বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশ। বিশ্বের অনেক দেশকে তেলের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আই.ই.এ) তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের মোট উৎপাদিত তেলের অধিকাংশ উৎপাদন করে উৎপাদনে শীর্ষে থাকা দশটি দেশ।
গত বছর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও তেল উৎপাদন বাড়াতে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। US Energy Information কতৃপক্ষের তথ্য অনুসারে ২০১৪ সালে তেল উৎপাদনে শীর্ষে থাকা ১২টি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, রাশিয়া, চীন, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমীরাত, ইরান, ইরাক, ব্রাজিল, মেক্সিকো, কুয়েত এবং ভেনিজুয়েলা। বিশ্বের মোট উৎপাদনের শতকরা ৭২ ভাগ তেল উৎপাদনে অবদান রাখছে শীর্ষে থাকা এই দেশগুলো।
Rank | Top 12 Countries | Production (bbl/day) |
72% of Total World Production (bbl/day) |
---|---|---|---|
1 | United States | 13,973,000 | 15.01 % |
2 | Saudi Arabia (OPEC) | 11,624,000 | 12.5 % |
3 | Russia | 10,853,000 | 11.7 % |
4 | China | 4,572,000 | 4.9 % |
5 | Canada | 4,383,000 | 4.7 % |
6 | United Arab Emirates (OPEC) | 3,471,000 | 3.7 % |
7 | Iran (OPEC) | 3,375,000 | 3.6 % |
8 | Iraq (OPEC) | 3,371,000 | 3.6 % |
9 | Brazil | 2,950,000 | 3.2 % |
10 | Mexico | 2,812,000 | 3.0 % |
11 | Kuwait (OPEC) | 2,780,000 | 3.0 % |
12 | Venezuela (OPEC) | 2,689,000 | 2.9 % |
খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়াম
কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি (Fossil fuel)। এ ধরনের জ্বালানি অবাত পচন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। মৃত গাছের পাতা, মৃতদেহ ইত্যাদি জীবনের উপাদান হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে এ জ্বালানি তৈরি হয়। এ প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তৈরি হতে মিলিয়ন বছর লাগে, সাধারণত ৬৫০ মিলিয়ন বছর। জীবাশ্ম জ্বালানিতে উচ্চ পরিমাণে কার্বন থাকে। জীবাশ্ম জ্বালানি পৃথিবীর সকল জায়গায় পাওয়া যায় না। মিথেন ও ন্যাপথেন এবং এ্যারোমেটিক ক্রমের তরল হাইড্রোকার্বনের রাসায়নিক মিশ্রণই হচ্ছে খনিজ তেল। যাকে ইংরেজীতে Crude oil বলা হয়। এটি অপরিশোধিত তেল। ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একে পরিশোধিত (Rifine) করে পেট্রোলিয়াম ও ডিজেল উৎপন্ন করা হয়। হাইড্রোকার্বন কমপজিশনের ওপর ভিত্তি করে এই খনিজ তৈলের বর্ণ কালো বা গাঢ় বাদামী হয়ে থাকে। তাই একে “ব্ল্যাক গোল্ড” বলা হয়। ২০১৪ সালে সারা বিশ্বে গড়ে দৈনিক ৯৩,০৯৭,০০০ ব্যারেল খনিজ তেল উত্তোলন করা হয়।
World Total Oil Production (million bbl/day) | |||||
2009 | 2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
84.95 | 87.52 | 87.83 | 89.70 | 90.06 | 93.00 |
Worldwide Oil Reserves 1.64 trillion bbl (2014) | |||||
Source: EIA |
পেট্রোলিয়াম একটি ল্যাটিন শব্দ। এই শব্দটি এসেছে দুটি ল্যাটিন শব্দ পেট্রো ও অলিয়াম মিলে। ‘পেট্রো’ অর্থ পাথর ও ‘অলিয়াম’ শব্দের অর্থ তেল। অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম শব্দের অর্থ পাথরের তেল। টারশিয়ারি যুগে অর্থাৎ আজ থেকে ৫-৬ কোটি বছর পূর্বে পাথরের স্তরে স্তরে গাছপালা ও সামুদ্রিক প্রাণি জমা পড়ে। কালে কালে তারাই খনিজ তেলে পরিণত হয়। আজকের স্থলভাগের অনেকটাই পূর্বে সমুদ্রের অন্তর্গত ছিল। পেট্রোলিয়াম-এর রাসায়নিক উপাদানের প্রধান উপাদানগুলো হলো কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন। এদের মধ্যে কার্বন ও হাইড্রোজেন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
শক্তির অন্যতম পরিচিত উৎস খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়াম। বর্তমান সভ্যতায় এর ব্যবহার অনেক ব্যাপক। গ্রামের কুঁড়েঘর থেকে শুরু করে আধুনিক সভ্যতার পরিবহণ ব্যবস্থা-সর্বত্রই এর অবদান রয়েছে। পেট্রোলিয়াম থেকে নিষ্কাশিত তেল পেট্রোল। এর প্রধান ব্যবহার জ্বালানি হিসেবে। পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের প্রধান ব্যবহার তড়িৎ ও যান্ত্রিক শক্তির উৎপাদনে। তাই আজকের সভ্যতার মূল চাবিকাঠি তড়িৎ ও যান্ত্রিক শক্তির মূল উৎস খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়াম। আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ তেল ব্যারেল হিসাবে বেচাকেনা হয়। ১ ব্যারেল = ৪২ মার্কিন গ্যালন বা প্রায় ১৫৯ লিটার।
১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২০১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 13,973,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ১৫.০১ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ২১ বিলিয়ন ব্যারেল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তেলের সবচেয়ে বড় ভোক্তা। তাই সর্বোচ্চ উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করার প্রয়োজন হয়। দেশের প্রধান তেল ক্ষেত্র ক্যালিফোর্নিয়া, আলাস্কা, এবং টেক্সাসে অবস্থিত।
Share of U.S. in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
11.06% | 11.54% | 12.39% | 13.67% | 15.01% |
Proved reserves 20,680,000,000 bbl (Rank 12) | ||||
Source: EIA |
২। সৌদি আরব
২০১৪ সালে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 11,624,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ১২.৪৯ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ২৬৮ বিলিয়ন ব্যারেল। সৌদি আরবে প্রায় ১০০টি প্রধান তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র আছে, যার মধ্যে গাওয়ার, সাফানিয়া, সায়বাহ, কুরাইছ ও খাতিফ অন্যতম। এই দেশের উৎপাদিত তেলের ৬০% পুরো বিশ্বের বৃহত্তম তেল ক্ষেত্র গাওয়ার থেকে আসে।
Share of Saudi Arabia in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
12.16% | 12.82% | 13.07% | 12.87% | 12.49% |
Proved reserves 267,900,000,000 bbl (Rank 2) | ||||
Source: EIA |
৩। রাশিয়া
২০১৪ সালে বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 10,853,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ১১.৬৬ ভাগ। দেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ৮০ বিলিয়ন ব্যারেল। রাশিয়ার প্রধান প্রধান তেলক্ষত্রগুলি পশ্চিম সাইবেরিয়া, ওরাল-ভলগা, ক্রাসনইয়ার্স্ক, শাখালিন ও ইয়াকুটিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। তবে বেশিরভাগ তেল আসে পশ্চিম সাইবেরিয়ার Priobskoye এবং Samotlor ফিল্ড থেকে।
Share of Russia in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
11.69% | 11.60% | 11.66% | 11.60% | 11.70% |
Proved reserves 80,000,000,000 bbl (Rank 8) | ||||
Source: EIA |
৪। চীন
২০১৪ সালে বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ চীন য়ার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 4,572,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৪.৯১ ভাগ। আভ্যন্তরীন চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করার প্রয়োজন হয়। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১৭ বিলিয়ন ব্যারেল। চীনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্রগুলি সমুদ্রবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। তবে ইদানীং দেশের স্থলভাগের বিস্তীর্ন এলাকাও তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
Share of China in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
4.98% | 4.95% | 4.87% | 4.95% | 4.91% |
Proved reserves 17,300,000,000 bbl (Rank 13) | ||||
Source: EIA |
৫। কানাডা
২০১৪ সালে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ কানাডা যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 4,383,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৪.৭১ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১৭৩ বিলিয়ন ব্যারেল। মজুদের তালিকায় কানাডার স্থান তৃতীয়। কানাডার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্রগুলি আটলান্টিক সাগরের তীরবর্তী অঞ্চল এবং আলবার্টায় অবস্থিত। ভবিষ্যতে এদেশের তেল উত্তোলনের পরিমান বাড়ানোর ইচ্ছা আছে।
Share of Canada in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
3.93% | 4.10% | 4.30% | 4.52% | 4.71% |
Proved reserves 173,100,000,000 bbl (Rank 3) | ||||
Source: EIA |
৬। সংযুক্ত আরব আমীরাত
২০১৪ সালে বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমীরাত যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 3,471,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৩.৭৩ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ৯৮ বিলিয়ন ব্যারেল যার বেশির ভাগ (৯২ বিলিয়ন ব্যারেল) রয়েছে আবু ধাবীতে। আল জালিলা, আছাব, বুহাসা, উম সায়িব, হাবসান সংযুক্ত আরব আমীরাতের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্র।
Share of UAE in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
3.20 | 3.64% | 3.79% | 3.78% | 3.73% |
Proved reserves 97,800,000,000 (Rank 7) | ||||
Source: EIA |
৭। ইরান
২০১৪ সালে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরান যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 3,375,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৩.৬৩ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১৫৫ বিলিয়ন ব্যারেল। পরমাণু ইস্যুতে ইরানের ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবছর তুলে নেওয়ায় দেশটি আবার তেল রপ্তানী শুরু করেছে। আগাজারী, ফেরদৌস, মারুন, নওরোজ ইরানের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্র।
Share of Iran in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
4.80% | 4.78% | 3.90% | 3.55% | 3.63% |
Proved reserves 154,600,000,000 bbl (Rank 4) | ||||
Source: EIA |
৮। ইরাক
২০১৪ সালে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরাক যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 3,371,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৩.৬২ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১৪১ বিলিয়ন ব্যারেল। যুদ্ধ, অপহরণ ও সন্ত্রাশী কার্যকলাপের কারণে এদেশের তেল উত্তোলন অনিশ্চয়তার মধ্যে ধীর গতিতে চলছে। কালফাইয়া, হারমিন, কিরকুক, মাজনুন ইরাকের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্র।
Share of Iraq in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
3.07% | 3.34% | 3.44% | 3.62% | |
Proved reserves 141,400,000,000 bbl (Rank 5) | ||||
Source: EIA |
৯। ব্রাজিল
২০১৪ সালে বিশ্বের নবম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 2,950,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৩.১৭ ভাগ। দেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ব্যারেল। দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলির মধ্যে ভেনেজুয়েলার পরে ব্রাজিলের স্থান। দেশটির অন্যতম তেল কোম্পানী Petrobras। কামপুস, ফ্রাঙ্ককো, গুয়ারা, মারলিন, লিবরো ব্রাজিলের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্র।
Share of Brasil in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
3.17% | ||||
Proved reserves 13,150,000,000 bbl (Rank 14) | ||||
Source: EIA |
১০। মেক্সিকো
২০১৪ সালে বিশ্বের দশম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ মেক্সিকো যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 2,812,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৩.০২ ভাগ। দেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১০ বিলিয়ন ব্যারেল। খনিজ তেল মেক্সিকোর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মেক্সিকোর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্রগুলো মেক্সিকো গালফে অবস্থিত।
Share of Mexico in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
3.43% | 3.42% | 3.23% | 3.22% | 3.02% |
Proved reserves 10,260,000,000 bbl (Rank 17) | ||||
Source: EIA |
১১। কুয়েত
২০১৪ সালে বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ কুয়েত যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 2,780,000 ব্যারেল। এর পরিমান বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ৩.০২ ভাগ। দেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ১০৪ বিলিয়ন ব্যারেল (বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম)। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্রগুলো দক্ষিণ-পূর্ব কুয়েতের মরুভূমি বুরগানে অবস্থিত। কুয়েতের Burgan field বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরানো তৈল ক্ষেত্র।
Share of Kuwait in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
2.86% | 3.07% | 3.12% | 3.11% | 3.02% |
Proved reserves 104,000,000,000 bbl (Rank 6) | ||||
Source: EIA |
১২। ভেনিজুয়েলা
২০১৪ সালে বিশ্বের দ্বাদশ বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ভেনিজুয়েলা যার অপরিশোধিত তেলের দৈনিক উৎপাদন ছিল 2,689,000 ব্যারেল। এর পরিমাণ বিশ্বের মোট দৈনিক উৎপাদনের ২.৮৯ ভাগ। এদেশের আনুমানিক প্রমাণিত মজুদ প্রায় ২৯৮ বিলিয়ন ব্যারেল (বিশ্বের বৃহত্তম!)। উল্লেখ্য, এদেশে বিশ্বের বৃহত্তম তেল ভান্ডার থাকলেও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও পরিকল্পনার অভাবে তেল রপ্তানীতে এখনও তেমন সুবিধা করতে পারেনি! ভেনিজুয়েলার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তেলক্ষত্রগুলো ওরিনকো বেল্ট এলাকায় অবস্থিত।
Share of Venezuela in Total Oil | ||||
2010 | 2011 | 2012 | 2013 | 2014 |
2.78% | 2.89% | |||
Proved reserves 297,600,000,000 bbl (Rank 1!) | ||||
Source: EIA |
অপরিশোধিত তেলের বাজার দর
OPEC
OPEC (Organization of the Petrolium Exporting Countries) তেল উৎপাদনকারী কিছু দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় ১৯৬০ সালে সৃষ্ট একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর প্রধান কার্যালয় অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এবং বর্তমান সদস্য ১২টি দেশ। এই সংস্থার বর্তমান সদস্য সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, ভেনেজুয়েলা, আলজেরিয়া, অ্যঙ্গোলা, ইকুয়েডর, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমীরাত। সদস্য দেশসমূহের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে তেল উৎপাদন ও বিপননের ক্ষেত্রে ওপেক নীতি নির্ধারন করে।
___________________
তথ্য ও ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া, CNN, EIA, ইন্টারনেট ও পত্র-পত্রিকা